বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

বরগুনার তালতলীতে মৃত্যু ব্যক্তির টিপসহি জাল, জালিয়াতি করে জমি দখল ও মালিক সেজে বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী আলী হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার/ মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৬০ সময় দর্শন
বরগুনার তালতলীতে মৃত্যু ব্যক্তির টিপসহি জাল, জালিয়াতি করে জমি দখল ও মালিক সেজে বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী আলী হোসেন।

বরগুনার তালতলীতে আলী হোসেন নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জমি দখল ও ভূয়া কাগজপত্র জালিয়াতি করে অন্যের জায়গা নিজের নামে নিয়ে বিক্রী করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অদ্য রবিবার(৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় ভুক্তভোগী সেতারা বেগম ও তার পরিবার উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের অংকুজান পাড়া গ্রামে এক মানব বন্ধনে স্থানীয় প্রভাবশালী আলী হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

এ সময় তারা বলেন, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়অংকুজানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমজেদ হোসেন ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মারা যায়
এর পর একই এলাকার প্রভাবশালী আলী হোসেন ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী আমজেদ হোসেনের মারা যাওয়ার দুই মাস পর তার টিপসই জালিয়াতি করে ১৮ শতাংশ জমি মাত্র ৪ হাজার টাকায় বায়নার একটি কাগজ তৈরি করেন। এর পরে বায়নার কাগজের সূত্রে ঐ জমি প্রভাবশালী আলী হোসেন,ইউসুফ হাং ও হারুন অর রশিদ মিলে ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রী করে দেন। ভুক্তভোগীরা এত বছরেও জানতে পারেনি তাদের জমি এভাবে জালজালিয়াতি করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৯৪-৯৫ সালের একটি ভুয়া দলিল দেখিয়ে সেই জমিও জোর জবরে দখল করেছেন। প্রভাবশালী আলী হোসেন গং

মৃত আমজেদের বড় মেয়ে আকলিমা বেগম বলেন খবর পেয়ে আদালতে জালজালিয়াতির একটি মামলা দায়ের করি আদালত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করতে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরজিৎ বিশ্বাস অনৈতিক পথ অবলম্বন করে সত্যিটা ধামাচাপা দিয়ে আদালতে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঐ তদন্ত রিপোর্টে আমি না রাজি দিলে আদালত তদন্ত কারি কর্মকর্তাকে ১৭/১০ ২০২১ ইং তারিখে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা কিন্তু ঐ তারিখে হাজির না হয়ে সময় আবেদন করেন।

আকলিমা বেগম বলেন, বুড়ির চর ইউনিয়নের বুড়ির চরগ্রামের মৃত তছিম উদ্দিনের পুত্র ইউসুফকে দিয়ে ঐ জাল দলিল ও বায়না পত্রটি তৈরি করে আলী হোসেন যা ইউসুফের মোবাইল ফোনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে স্বীকার পেয়েছেন। এছাড়া ইউসুফের বোনের স্বামী আমজেদ হোসেন মৃত আমজেদ সেজে ১৯৯৪-৯৫ সালে জাল দলিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বরগুনার তালতলীতে মৃত্যু ব্যক্তির টিপসহি জাল, জালিয়াতি করে জমি দখল ও মালিক সেজে বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী আলী হোসেন।

মৃত আমজেদ হোসেনের স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, প্রভাবশালী আলী হোসেন জালিয়াতির মাধ্যেমে আমার স্বামীর টিপসই জালিয়াতি করে ১৯৯৪-৯৫ সালের একটি দলিল এবং তার মৃত্যুর দুই মাস পর অন্য একটি জমির বায়না নিয়ে গেছেন। যখন জমির বায়না বা দলিল নিছে তার দুই মাস আগে আমার স্বামী মারা গেছে।

মামলার পর এখন বায়না পত্রটি আলী হোসেন অস্বীকার করে।তবে ১৯৯৪-৯৫ সালের ভূয়া দলিলটি স্বীকার করে জমি দখল রেখেছে। আমরা তার টিপসই পরিক্ষা করার অনুরোধ করছি।এবং সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যাতে আমার জমি আমি ফিরিয়ে পাই।
এই আলী হোসেন তালতলী থানায় মাঝির কাজ করেন এই ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের হুমকি দামকি দিয়ে আসছে।

এবিষয়ে আলী হোসেন বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিক্তিহীন ও মনগড়া। ১৮ শতাংশ জমির বিষয়ে কোনো বায়না পত্র হয়নি বা তিনি এধরনের কোন কাগজ বের করেননী। তবে তাদের থেকে ১৯৯৪-৯৫ সালে আমি জমি কিনেছি এটা সত্য বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজভী জেমাদ্দার বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি শালিশ বৈঠকে বসেছি,আলী হোসেনের কাগজপত্রের কোন ভিত্তি নেই, আমজেদ হোসেন ২০৩ সালে মৃত্যু বরন করে এবং তার মৃত্যুর পরে ২০১৪ সালের সাদা কাগজের একটি চুক্তিনামা বের করে যার কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই বলে জানান তিনি।

উক্ত ঘটনার ব্যাপারে বরগুনা সি আই ডি এস,আই নিং সুরজিৎ বিশ্বাষ বলেন,আমি একটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেছি তবে সেটা বাড়ী নিয়ে মামলা ধানি জমি কিনা তা আমার জানা নেই।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71